আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা রোববার রাওয়াবি নামের আরব আমিরাতের পতাকাবাহী একটি জাহাজ আটক করে।
ইরান সমর্থিত হুতিরা দাবি করে সামরিক সরঞ্জাম বহন করছিল এটি। যেগুলো ইয়েমেনের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হতো। তবে হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সৌদি জোট জানায় জাহাজটিতে হাসপাতালের সরঞ্জাম ছিল।
জাহাজ আটক করার প্রতিশোধ হিসেবে বুধবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টিভি বুধবার জানিয়েছে, এই হামলার মাধ্যমে হুতিদের ড্রোন তৈরি করার বেশ কয়েকটি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে।
সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সোমবার পাঁচটি ড্রোন ধ্বংস করে। এই ড্রোনগুলো সৌদিতে আঘাত করার উদ্দেশে পাঠায় হুতিরা।
আরব আমিরাতের পতাকাবাহী জাহাজটি এখন আছে উত্তর হুদাইবার নৌ বন্দর সালিফে। যা সৌদি আরবের সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে।
সৌদি জানায়, জাহাজটি যখন আটক করা হয় তখন এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল। এটি হাসপাতালের সরঞ্জাম বহন করছিল। যেগুলো ইয়েমেনের সোকোত্রা দ্বীপে একটি হাসপাতালের ছিল।
কিন্তু হুতিরা দাবি করে কোন অনুমতি ছাড়া জাহাজটি ইয়েমেনের জলসীমায় চলছিল ও সামরিক সরঞ্জাম বহন করছিল। জাহাজটির মালিক আরব আমিরাত এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত ইয়েমেনের সরকারকে সাহায্য করার জন্য হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা।
এই যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ ইয়েমেন এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। অনেক মানুষ হয়েছে বাস্তুহারা। এমনকি প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষের।
সূত্র: আলজাজিরা
বিএসডি/ এলএল