খেলাধূলা প্রতিনিধি:
প্রথম ম্যাচে আশা জাগিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। তৃতীয় ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুণ পারফর্মেন্সের পর ব্যাট হাতে দ্বিতীয়ার্ধে চরম ব্যর্থতা! এভাবেই শেষ হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেছে ১০ রানে। এতে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে রান তাড়ায় নেমে লিটন দাস ছিলেন মারমুখী মেজাজে। প্রথম ওভারেই হাঁকান বাউন্ডারি। ভিক্টর নিয়াউচির করা দ্বিতীয় ওভারটাও তিনি বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেছিলেন। তবে পরের বলেই কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান ৬ বলে ১৩ রান করে। মুনিম শাহরিয়ারের জায়গায় সুযোগ পাওয়া আরেক ওপেনার পারভেজ ইমন মাত্র ২ রান করে ফিরলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তিনে নেমে এনামুল হক বিজয় টানা তিন ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন।
১৩ বলে ১৪ রান করে মাধভেরের বলে বোল্ড হলে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ধস ঠেকাতে গিয়ে ধীরগতির ব্যাটিং শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ২০ বলে ১৬ রান করা শান্ত ক্যাচ দিয়ে ফিরলে দলীয় ৬০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উইকেটে এসে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং শুরু করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৩০ বলে ৩৯ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে।
ব্রাড ইভান্সের বলে তিনি কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ২৭ বলে ২৭ রানে। পরের বলেই বর্তমান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ‘গোল্ডেন ডাক’ মারলে ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আফিফ আর শেখ মেহেদি হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশের তখন ২ ওভারে দরকার ২৬। ২৪ বলে ৩৪ রানের ৭ম উইকেট জুটির অবসান হয় ভিক্টর নিয়াউচির বলে ২২ রান করা মেহেদির বিদায়ে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রানের। সেই সমীকরণ আর মেলানো সম্ভব হয়নি। ওই ওভারে কোনো বাউন্ডারিই মারতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো লুকি জঙ্গুইয়ের বলে আউট হন হাসান মাহমুদ (৩)। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১৩ রানের। বাংলাদেশ থামে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান তুলে। ১০ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়ে। ভিক্টর নিয়াউচি ২৯ রানে নেন ৩ উইকেট। ব্র্যাড ইভান্স ২ উইকেট নিয়েছেন ২৬ রানে।
এর আগে মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। ২৯ রানের ওপেনিং জুটির পর তারা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। ৬৭ রানে নেই হয়ে যায় ৬ উইকেট। এরপরেই ব্যাট হাতে ঝলসে ওঠেন রায়ান বার্ল। নাসুমের এক ওভারে পাঁচ ছক্কা এক চারে নেন ৩৪ রান। ২৪ বলে করেন ফিফটি। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ২৮ বলে ২ চার ৬ ছক্কায় ৫৪ রান। তার ৩১ বলে ৭৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটি গড়া লুক জঙ্গুই ২০ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় ৩৫ রান করেন। মেহেদি হাসান এবং হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া বাকি চার বোলার নেন ১টি করে।
বিএসডি/ এমআর