খেলাধূলা প্রতিনিধি:
জেসুসের সর্বশেষ গোলটি ছিল ১০ এপ্রিল লিভারপুলের বিপক্ষে। এই তো মাত্র ১২ দিন আগে, এ আর এমন কী। কিন্তু জেসুসের এর আগের গোলটি খুঁজে পেতে চলে যেতে হবে গত বছর। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর একমাত্র গোলেই চেলসিকে হারিয়েছিলেন গার্দিওলা। এই পরিসংখ্যানেই তো বোঝা যায় প্রিমিয়ার লিগে কতটা অধারাবাহিক জেসুস।
সেই জেসুস গোলের খাতা খুললেন মাত্র ৪ মিনিটে। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে লেফটব্যাক আলেকসান্দর জিনচেঙ্কোর জোরালো পাসে দূরের পোস্ট থেকে পা লাগিয়ে গোলটি করেন জেসুস। ১৯ মিনিট পর জেসুসের দ্বিতীয় গোল। ডান প্রান্ত থেকে ডি ব্রুইনার মাপা ক্রসে আনমার্কড থাকা অবস্থায় দেখে–শুনে মাথা ছোঁয়ানোর কাজটি করেছেন ব্রাজিলিয়ান এ ফরোয়ার্ড। ২৮ মিনিটে গোল করে ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে তুলেছিলেন হাসান কামারা।
কিন্তু বিষয়টি বোধ হয় ভালো লাগেনি রদ্রির। ৩৪ মিনিটে ম্যাচের সেরা গোল করলেন স্প্যানিশ এ মিডফিল্ডার। জেসুসের বাড়ানো বল বুকে নামিয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেটগতির শটে জালে জড়িয়ে দিলেন রদ্রি। ওয়াটফোর্ড গোলকিপার ঝাঁপ দিয়েও বলের নাগাল পেলেন না।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ওয়াটফোর্ড গোলকিপার বেন ফস্টার জেসুসের হ্যাটট্রিকের রাস্তা তৈরি করে দেন। ফস্টার জেসুসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সিটি। স্পট কিক থেকে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি জেসুস। ৫৩ মিনিটে জেসুসের চতুর্থ ও দলের পঞ্চম গোলটি গার্দিওলার কোচিং স্টাইলের স্বাক্ষর রেখে দিল। নিচ থেকে পাসের মালা গেঁথে ওপরে উঠে ডি ব্রুইনার সঙ্গে ওয়ান-ওয়ান করে বক্সে ঢুকে প্লেসিংয়ে গোল।
সিটির পাঁচ গোলেই অবদান রেখেছেন জেসুস। শুধু অবদান নয়, পাঁচটি গোলই করার সম্ভাবনা ছিল জেসুসের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ যে কাজটা করেছিলেন সিটিরই সের্হিও আগুয়েরো (২০১৫, নিউক্যাসলের বিপক্ষে)। কিন্তু ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে সে কীর্তিতে নাম লেখানো হয়নি জেসুসের।
এই জয়ে শিরোপার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল সিটি। ৩৩ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে গার্দিওলার দল। এক ম্যাচ কম খেলে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল। ২২ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন অঞ্চলে ওয়াটফোর্ড।
বিএসডি/ এমআর