জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:
সিলেটের জৈন্তাপুরে জামেয়া ইসলামীয় মহিলা মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা চালায় জামায়াত নেতা এড. আব্দুল আহাদ ও সিরাজ গংরা। মাদ্রাসার অফিস গেইট ও অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ল্যাপটপ কম্পিউটার ও জরুরী কাগজপত্র নেয় এবং প্রেট্রেল দিয়ে মাদ্রসা পুড়ে দেওয়ার পায়তারা করে। ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জামায়াত নেতা এ্যাড. আব্দুল আহাদ নির্দেশে জামায়াত নেতা সিরাজুল ইসলাম উরফে জুতা সিরাজ, আব্দুল খালিক মোল্লা, আব্দুল জব্বার, আব্দুল খালিক সহ ১৫/২০ জনের বাহিনী জৈন্তিয়া জামেয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার সম্মুখে অবস্থান নেয়। পাহারাদারকে গেইট খুলতে বলে। পাহারাদার আব্দুল খালিক ও ঝাড়–দার শিরিনা বেগম গেইট খুলে না দিলে তাদের উপর হামলা চালায় এবং গেইট ও অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে মাদ্রাসায় রক্ষিত একটি ল্যাপটপ ও জরুরী কাগজপত্র নেয়। পাহারাদার ও ঝাড়–দারের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আহতবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। অপরদিকে এলাকার মহিলারা মাদ্রাসা দখলের বিষয় জানতে পেরে দ্রæত এগিয়ে এসে ঝাড়– দিয়ে ধাওয়া করেলে
দখলকারী আব্দুল আহাদ ও জুতা সিরাজ গংরা এবং কতিত শালিশরা পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর পক্ষে সমাজসেবী মাসুক আহমদ বলেন, মাদ্রাসাটি একজন ব্যক্তি এলাকার জনগনের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য নিজ খরচে জায়গা জমি ক্রয় করে মাদ্রাসা তৈরী করেদেন। কিন্তু জামায়ত নেতা এ্যাড. আব্দুল আহাদ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একপর্যায় সে মাদ্রাসাটি তার ব্যক্তিগত বলে দাবী করে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী সহ বিভিন্ন দপ্তর সরেজমিন তদন্তে নামলে তার কোন কিছু দেখাতে পারেনি। আব্দুল আহাদ মাদ্রাসার নামে টাকা পয়সা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। এলাকাবাসীকে দায়িত্বদেন উপজেলা প্রশাসন। আহাদ সুবিধা করতে না পেরে এখান ভাড়াটিয়া গুন্ডা
বাহিনী এবং জামায়াত সমর্থিত কতিত শালিশ দিয়ে মাদ্রাসা দখলের অপচেষ্টার লক্ষে আজ সকালে অপচেষ্টা চালায়। সে তার বাহিনী পাহারাদার ও ঝাড়–দারকে মারপিট করে আহত করে এবং মাদ্রাসার ল্যাপটপ কম্পিউটার সহ অতি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনতাই করে পারিলে যায়।
এদিকে খরব পেয়ে দ্রত জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং এলাকাবাসীকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রনে আনে। পুলিশের আসার খরব পেয়ে জামায়াত নেতার প্রেরিত কতিত শালিরা দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পাহারাদার আব্দুল খালিক বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিএসডি/আইপি