ঝালকাঠির রাজাপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আবদুল হালিম খলিফা (৪৮) নামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার চর হাইলাকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আবদুল হালিম খলিফা ওই এলাকার মৃত মজিদ খলিফার ছেলে। সে মঠবাড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত হালিম খলিফার স্ত্রী সুখী বেগম (৩৫) ও সুখী বেগমের দুই ভাই লিটন তালুকদার (৪৮) ও সাইফুল তালুকদার (২৬)।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ মন্টু খলিফা (৪৫), তাঁর স্ত্রী শিউলি বেগম ও সেলিম খান (৬০) নামের তিনজনকে আটক করেছে।
নিহত ব্যক্তির বড় বোন ফেরদৌসী বেগম অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে আবদুল হালিম খলিফার সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী মন্টু খলিফার বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে কয়েক দফায় সালিস বৈঠক হলেও বিরোধের সুরাহা হয়নি। কয়েক দিন ধরে এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এসব ঘটনার জেরে গতকাল রাতে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মন্টু খলিফা, সেলিম খান, শাহিন, সোহাগ, সজীব, শামিম, শাওনসহ ২০ থেকে ২৫ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিম খলিফা ও তাঁর স্ত্রী সুখী বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খবর শুনে বোন ও ভগ্নিপতিকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে লিটন ও সাইফুলকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদের রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে রাত সাড়ে আটটার দিকে হালিম খলিফাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হামলা আহত লিটনকে রাতেই বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাইফুল ও সুখীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আহত অভিযুক্ত মন্টুকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক কনক প্রভা জানান, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় হালিম খলিফার পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।