নিজস্ব প্রতিবেদক,
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার সংযোগস্থলের দক্ষিণ শাহমীরপুরর বদলপুরা গ্রামের মাঝে শীতল ঝর্ণা খালের ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি যেন দুই উপজেলার মরণ ফাঁদে রূপ নিয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগেই ভেঙে গেছে কালভার্টের দুই দিকের রেলিং। এখন নতুন করে কালভার্টটি ভেঙে গর্ত হয়েছে। পাঁচ-ছয় ইঞ্চি দেবে গেছে মাঝখানের স্ল্যাব। ঝরে পড়ছে প্লাস্তারও। বর্তমানে ঝুঁকি নিয়েই এর উপর চলছে যানবাহন। সবমিলিযে যেকোন সময় এটি ভেঙে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা স্থানীয়দের।
রবিবার (২৫ জুলাই) উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ারা হোসেন ও যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন সারো কালভার্টেটি পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ১৯৮৪ সালে নির্মিত এই কালভার্টটি আনোয়ারা ও কর্নফুলী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের এখনো যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। গত তিন বছর ধরে কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ মোটামুটিভাবে সবাই দুরবস্থার কথা অবগত থাকলেও নতুন কালভার্ট মির্মানে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শীতল ঝর্ণা খালের ছোট্ট কালভার্টটির দুদিকের রেলিং আগে থেকেই ভেঙে পড়া। মাঝখানের টপস্ল্যাবটি পাঁচ-ছয় ইঞ্চি দেবে গেছে। মাঝখানে তৈরি হওয়া বড় গর্তে প্লেটসিট বসিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
স্থানীয় বদলপুরার বাসিন্দা সালাউদ্দীন সারো বলেন, যে কোন সময় কালভার্টটি খালের মধ্যে ধসে পড়তে পারে। বিষয়টি ভূমি মন্ত্রীকে অবগত করা হলে তিনি শীঘ্রই সমাধান করে দেবে বলে জানিয়েছেন।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। সবাইকে আতঙ্ক নিয়েই কালভার্টটি পার হতে হয়।
কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি রবিবার দুপুরে উপজেলা প্রকৌশলীসহ পরিদর্শন করেছি। নতুন কালভার্টের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন কালভার্ট নির্মান করা হবে বলে জানান ।
বর্তমান সময়/আইপি