খেলাধূলা প্রতিনিধি:
ম্যাচের সময় তখন ৭৪ মিনিট। শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় পেয়ে বসলেও খেই না হারানো লিভারপুল আলগা করেনি চাপ। সেই চাপের ফসলই গোলটি। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন দিয়াজ, সেই শট টটেনহাম মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেনতাঙ্কুরের পায়ে লেগে দিক বদলে ঢুকে যায় জালে। বেনতাঙ্কুরের পায়ে না লাগলে হয়তো লরিস একটু চেষ্টা করতে পারতেন গোল বাঁচাতে।
বাকি সময়ের পুরোটাই টটেনহামকে চাপে রেখেও গোল পায়নি লিভারপুল। নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে মোহাম্মদ সালাহর শট সানচেজের পায়ে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে না গেলে লিভারপুল হয়তো পুরো ৩ পয়েন্টই পেতে পারত।
এর আগে টটেনহামের রক্ষণকে আক্রমণের পর আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত রাখা লিভারপুল আচমকাই গোল খেয়ে বসে ৫৬ মিনিটে। টটেনহাম গোলরক্ষক হুগো লরিস লম্বা পাস মাঝমাঠে খুঁজে নেয় হ্যারি কেইনকে। কোনোরকম বাধা ছাড়াই এগিয়ে যাওয়া ইংলিশ স্ট্রাইকারের পাস বাঁ প্রান্তে পেয়ে যায় রায়ান সেসেগননকে। ২১ বছর বয়সী উইঙ্গার ধীরে–সুস্থে পাস বাড়িয়ে দেন ডান পাশ থেকে এগিয়ে আসা সন হিউং–মিনকে। খুব কাছ থেকে গোল করতে ভুল করেননি দক্ষিণ কোরিয়ান উইঙ্গার।
এর আগে গোলশূন্য প্রথমার্ধে আধিপত্য ছিল লিভারপুলের। স্বাগতিকেরা এগিয়ে যেতে পারত ৩৯ মিনিটেই। ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার–আরনল্ডের কর্নার থেকে ভার্জিল ফন ডাইকের হেড ক্রসবার ছুঁয়ে চলে যায় বাইরে। চার মিনিট পর পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া লুইস দিয়াজের শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় বাঁচিয়ে দেন টটেনহাম গোলরক্ষক হুগো লরিস।
পাল্টা আক্রমণে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল টটেনহামও। পিয়ের–এমিল হইবিয়া বক্সের অনেক বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন, গড়ানো সেই শট বাঁ পোস্ট কাঁপিয়ে বাইরে চলে যায়।
বিএসডি/ এমআর