নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা দুই বছর পর চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণে স্বস্তি মিলেছে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি। একই সঙ্গে ওই দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি। ২০২০ সালের ৮ এপ্রিলের পর প্রথমবারে মত করোনা শূন্য দিন পার করল চট্টগ্রাম। তবে এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার শূন্য শতাংশ ছিল।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মোট ৩৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় উপজেলা কিংবা শহরের কোথাও নতুন করে কেউ করোনা পজেটিভ হয়নি। এর আগে গত মঙ্গলবারও চট্টগ্রামে ৩২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩১।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ কমে আসছে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত বা মারা যাননি। এটি আমাদের জন্য সুখের খবর। তবুও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। করোনা একেবারে চলে গেছে ভেবে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা বা জীবনাচার করা উচিত হবে না।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. এইচএম হামিদুল্লাহ মেহেদী বলেন, সাধারণত একটা ভ্যারিয়েন্ট মানুষের শরীরে আক্রান্ত করার পর এক পর্যায়ে গিয়ে সে নিজেও দুর্বল হয়ে পড়ে। করোনার ক্ষেত্রেও এমন নানা সিম্পট দেখা গিয়েছে। এখন আস্তে আস্তে সেটি দুর্বল হয়ে আসছে। তাই সংক্রমণও কমছে। তবে এতে বেশি আশান্বিত হওয়ার কারণ নেই। আমাদেরকে সতর্ক ও সচেতন থাকতেই হবে।
জানা যায়, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৬২৬। এর মধ্যে মহানগরে ৯২ হাজার ৯০ জন এবং ১৫ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৫৩৬ জন। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন এক হাজার ৩৬২ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭৩৪ জন এবং ১৫ উপজেলায় ৬২৮ জন। চট্টগ্রামে বর্তমানে সরকারি বেসরকারি ১৭টি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত হন ২০২০ সালের ৮ মার্চ। চট্টগ্রামে প্রথম শনাক্ত হয় ওই বছরের ৩ এপ্রিল। চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মারা যান ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল।
বিএসডি/ এলএল