নেপাল সরকার সোমবার চীনের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। সামাজিক সম্প্রীতির ওপর নেতিবাচক প্রচেষ্টার উল্লেখ করে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে।
দেশটির যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রেখা শর্মা বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি সাম্প্রতিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল।
রেখা শর্মা সরকারের মুখপাত্রও। তিনি বলেছেন, কবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
সরকার বলেছে, যদিও মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার তবে সমাজের একটি বড় অংশ ঘৃণাত্মক বক্তব্যের প্রবণতাকে উত্সাহিত করার জন্য টিকটকের সমালোচনা করেছে। গত চার বছরে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপে সাইবার ক্রাইমের ১ হাজার ৬৪৭টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।
নেপালের দৈনিক অনুসারে, নেপাল পুলিশের সাইবার ব্যুরো, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও টিকটকের প্রতিনিধিরা গত সপ্তাহের শুরুতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি শেষ হওয়ার পরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ২০২৩-এর অপারেশন সংক্রান্ত নির্দেশিকা’ চালু করার কয়েক দিনের মধ্যে সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি এসেছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, নেপালে কোনো সোশাল মিডিয়া কার্যক্রম চালু রাখতে চাইলে এখানে তাদের অফিস স্থাপন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় দেশটি ফেসবুক, এক্স (পূর্বে টুইটার), টিকটক এবং ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমকে তাদের এখানে যোগাযোগ অফিস খোলার বাধ্যতামূলক নিয়ম করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিন মাসের মধ্যে নেপালে একটি অফিস স্থাপন করতে হবে বলেও কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অফিসে একজন ফোকাল পার্সন নিয়োগ করতে হবে যে তাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখব।
এর আগে ২০২ সালের জুন মাসে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে টিকটকসহ বেশ কিছু চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। নিষেধাজ্ঞার আগে, অ্যাপটির ভারতে প্রায় ১৫ কোটি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল।
এছাড়াও, নিরাপত্তাজনিত কারণে টিকটকের ওপর অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, আফগানিস্তান, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড এবং নরওয়ের মতো দেশও যথাক্রমে আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে
বিএসডি/ এফ এ