২০ ডিসেম্বর বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে রাবেয়া খাতুনের গল্প অবলম্বনে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘৭১-এর নিশান’। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন তাহের শিপন। অভিনয়ে ফজলুর রহমান বাবু, কচি খন্দকার, সেরা জামান, মুনিরা মিঠু প্রমুখ।
থার্ড স্যারের কথা শেষ হতে না হতেই ঘাটে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়, নিশানদের দলটা দেখতে পায় থার্ড স্যারের কথাই সত্যি, আত্মীয়-স্বজনরা পালিয়ে এসেছে গ্রামে, পোশাক এলোমেলো, চোখ ভরা ক্লান্তি। নিশানের চাচা-চাচী-চাচাতো বোন মিলি আর তার বয়সী দিলুও সেই পালানো মানুষদের দলে। গ্রামের মাতব্বর-মুরুব্বি শ্রেণির লোকেরা প্রকৃত ঘটনা জানতে এসে জড়ো হন নিশানদের উঠানে, নিশানের চাচা খুলে বলেন দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি, আতঙ্কিত হয়ে ওঠে সবাই শুনে। আচমকা গ্রামের বেশিরভাগ যুবক লাপাত্তা হয়ে যায়, যাবার আগে নিশানদের বলে যায় তারা নিজেদের দেশ নিজেদের করেই ফিরবে।
একদিন হা-ডু-ডু খেলতে খেলতে নিশানরা বিলের ওপারে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে ফিরতে থাকে, ততক্ষণে অজানা থাকে না মুলাকান্দির হাটে আগুন দিয়েছে পাকবাহিনী। নিশানের বাবাকে তার মা হাটে যেতে নিষেধ করে করে, কিন্তু নিশানের বাবার হাস্যোজ্জ্বল জবাব, স্ত্রী পুত্র কন্যাকে পৃথিবীতে রেখে তাকে স্বয়ং আজরাইলও নিয়ে যেতে পারবে না। দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়, ফিরে আসে না হাটুরেদের দল, খবর পাওয়া যায় হাটুরেদের দল প্রাণ দিয়েছে মিলিটারীদের হাতে, তিনদিন পর আসে নিশানের বাবার লাশ, একে একে সবাই চলে যায়, শুধু নিশান জেগে থাকে বাবার কবরের পাশে। কবরের কাছে যে জানতে চায় সময় কি এখনো আসেনি বাবা? কবরের কাছ থেকে কোনো উত্তর আসে না। নিশান মাকে সরাসরি বলে যুদ্ধে যাবে সে! তারপর ঘটে রুদ্ধশ্বাস অনেক ঘটনা।
বিএসডি/জেজে