সেলসিয়াসের সমালোচনাটা মারে করেছেন একটু ঘুরিয়েই, ‘আমি মনে করি সিৎসিপাস দারুণ একজন খেলোয়াড়। সে টেনিস খেলাটার একজন ভালো প্রতিনিধি কিন্তু আজ আমি তাঁর প্রতি সম্মান হারিয়েছি।’
মারেকে পোড়াচ্ছে সিৎসিপাস কেন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ৮ মিনিট সময় নেবেন! যেকোনো খেলার মধ্যেই এ ধরনের বিরতি খেলোয়াড়দের ছন্দ নষ্ট করে দেয়। কালও মারে যে ছন্দে ছিলেন, যেভাবে খেলছিলেন, সিৎসিপাসের ‘বাথরুম ব্রেক’ সবকিছুই গুবলেট করে দিয়েছে। এটাই সব নয়। তৃতীয় সেটের পর পায়ের চোটের চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণ বিরতি নিয়েছিলেন গ্রিক তারকা।
মারে প্রতিবারই ম্যাচ অফিশিয়ালদের কাছে এ ব্যাপারে নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথা ছিল প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত বিরতি সিৎসিপাস নিচ্ছেন, পুরো বিষয়টি যতটা না নিজের প্রয়োজনে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিপক্ষকে বিপাকে ফেলতে। কিন্তু অফিশিয়ালদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মারে পাননি বলেই জানিয়েছে ম্যাচ শেষে, ‘কঠিন একটা ম্যাচের সময় যদি সাত-আট মিনিট করে বিরতি পড়ে, সেটি ছন্দে থাকা যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই খুব হতাশার। এ সব বিরতিতে প্রয়োজনীয় ছন্দে পতন ঘটে। খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে প্রতিপক্ষের পরপর দুটি দীর্ঘ সময়ের বিরতিকে আমি কোনোভাবেই কাকতালীয় ব্যাপার বলতে চাই না।’
সিৎসিপাসের এমন আচরণ ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে বলেই মনে করেন মারে, ‘আমি বলছি না যে ম্যাচটা আমি নিশ্চিত করেই জিততাম। কিন্তু আমি মনে করি, এ ধরনের বিরতি ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে।’
সিৎসিপাস অবশ্য মারের এ অভিযোগে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, ‘আমি মনে করি না যে বিরতি নিয়ে কোনো আইনের অপব্যবহার করেছি আমি। আমি সব সময়ই খেলার আইন মেনে চলি। এটিপি যে বিধান করেছে, সেটির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে আমার।’
মারে সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ঠিক করেননি বলেই মনে করেন গ্রিসের টেনিস তারকা, ‘মারের যদি আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তিনি সেটি আমাকেই বলতে পারতেন। আমরা দুজন মিলে আলোচনা করে সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে পারতাম।’
মারে বলেছেন, ‘টেনিসে এ ধরনের ব্যাপার প্রায়ই ঘটছে। খেলোয়াড়েরা এটিকে প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলতে ব্যবহার করছে। এটি নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা হচ্ছে যে কীভাবে আইনের এ অপব্যবহার ঠেকানো যায়।’