নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলার স্বনামধন্য আর্ট-হিস্টোরিয়ান, জাদুঘরবিদ্যা ও মূর্তিতত্ত্বের অনন্য পণ্ডতিপ্রফেসর ড. এনামুল হক গত ১০ জুলাই ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে র্বাধক্যজনতি কারণে ইন্তেকোল করেন ।বাংলাদেশে আধুনিক যাদুঘর আন্দোলনের পথিকৃত ও ইতিহাস-প্রত্নতত্ত্ব-ঐতিহ্য-শিল্পকলা চর্চায় দেশে-বিদেশে খ্যাতিমান এই পন্ডতিরে মৃত্যুতে ইতিহাস একাডেমি গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এসময় ইতিহাস একাডেমির পক্ষ থেকে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
প্রফেসর ড. এনামুল হক ১৯৩৬ সালে বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কর্মজীবনেরশুরুতইে ড. হক ১৯৬২ সালে ঢাকা জাদুঘরে যোগদান করেন।
এরপর তিনি কিউরেটর, প্রথম পরিচালক ও প্রথম মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়েই ঢাকা জাদুঘর বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়। তিনি ১৯৯১ সালে জাতীয় যাদুঘরের মহাপরিচালক পদে অবসর গ্রহণ করেন।
এছাড়া তিনি আরো নানান সংগঠনের গুরুত্বর্পূণপদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের মধ্যে তাঁর র্সবাপক্ষো গুরুত্বর্পূণ অবদান হলো ১৯৯৫ সালে বাংলার প্রত্নতত্ত্ব ও প্রত্নতাত্ত্বিক শিল্পকলা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চার আর্ন্তজাতকি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। প্রতিষ্ঠা থেকে অদ্যাবধি তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও একাডেমিক ডাইরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী বাংলার শিল্প-ইতিহাস চর্চার জন্য বিশেষ সুনাম র্অজন করেছে।
ড. হক তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে গবেষণা ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক লাভ করেন। সংস্কৃতিতে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার ২০১৭ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার (সংস্কৃতি) প্রদান করে। প্রত্নতত্ত্বে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে ২০২০ খ্রিস্টাব্দে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে।
এবছর ২০ মে বাংলার শিল্পকলা জাদুঘর-বিদ্যা ও মূর্তিতত্ত্বের নিবেদিত প্রাণ ও গবেষক ড. এনামুল হক-এরসামগ্রিক অবদান ইতিহাস একাডেমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
বিএসডি/ফয়সাল