শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে আহত মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলকে গত সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়;ঢাকার রাস্তায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার সময় আহত মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল (৫২) মারা গেছেন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরে রাজধানীর ধানমন্ডির বেসরকারি একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ভুবনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, তা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করার পর জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে গতকাল রোববার বেলা ১১টা থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গতকাল চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, ভুবন চিকিৎসায় কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
ভুবন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তাঁর স্ত্রী রত্না চন্দ্র শীল তাঁর একমাত্র মেয়ে ভূমিকা চন্দ্র শীল ও দুই ভাইকে নিয়ে হাসপাতালেই রয়েছেন।
গত সোমবার রাতে তেজগাঁও শিল্প এলাকার বিজি প্রেসের সামনের রাস্তায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় মোটরসাইকেলে করে ওই পথ দিয়ে নিজ বাসায় ফেরার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ভুবন।
বিএস/এসএস