তাসমান সাগর পাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ড এখন আর অপরাজেয় রইল না। দেশটির টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-২০ ফরম্যাটের সব দুর্গে লাল-সবুজ পতাকা উড়ছে এখন। গত বছরের জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথমবার পতাকা উড়িয়েছিল বাংলাদেশ। এবার চলমান সিরিজে উড়াল ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে। পাঁচ দিন আগে নেপিয়ারের ম্যাকক্লিন পার্কে ওয়ানডেতে জিতেছে। টানা ১৮ ম্যাচ হারের পর নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হারিয়েছে টাইগাররা। এবার টানা ৯ টি-২০ ম্যাচ হারের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়ের দেখা পেল।
গতকাল ওয়ানডের পর টি-২০ ম্যাচেও বাংলাদেশ জিতেছে নেপিয়ারের ম্যাকক্লিন পার্কে। ঐতিহাসিক জয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে টাইগার ক্রিকেটাররা। আগের ৯ দেখায় প্রতিবারই ম্যাচের ফল গেছে কিউইদের পক্ষে। এবার লিটন দাসের ৪২ রানে ভর তাদের মাটিতে টাইগাররা ফরম্যাটটিতে প্রথম জয় পেয়েছে। আর এই ম্যাচেই টি-টোয়েন্টিতে রান সংগ্রহে লিটন টপকে গেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশের হয়ে তিনি ৭১ ম্যাচে ১৭১২ রান করেছেন। তার চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৭০১ রান আসে তামিমের ব্যাটে।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে ফরম্যাটটিকে বিদায় বলেন তামিম। সে হিসেবে লিটনকে ছাড়ানোর আর সম্ভাবনা নেই তার সামনে। তবে লিটন রান সংগ্রহে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আছেন তিন নম্বরে। এ তালিকায় সবার শীর্ষে আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১১৭টি ম্যাচে তিনি ২৩৮২ রান করেছেন। দুইয়ে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১২১ টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ২১২২ রান। টি-টোয়েন্টিতে অবসর নেওয়া মুশফিকুর রহিম ১০২ ম্যাচে ১৫০০ রান করেছেন। তালিকায় তার অবস্থান পাঁচে।
তবে লিটন-তামিমের প্রসঙ্গে যেহেতু এই আলোচনা, সে হিসেবে দু’জনের আরও কিছু পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক। গড় রান ও স্ট্রাইকরেটেও লিটন ওপরেই আছেন। ২৪.৭০ গড় নিয়ে রান করা এই ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইকরেট ১৩০.৫। স্ট্রাইকরেটের দিক থেকে টাইগারদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান এই উইকেটরক্ষক ওপেনারের। অন্যদিকে, তামিম ২৪.১০ এবং ১১৭.৫ গড়ে রান করেছেন।
গড় রানের দিক থেকে টি-টোয়েন্টিতে দেশীয়দের মধ্যে সবার শীর্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত। কিউইদের মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি জেতা এই অধিনায়ক ২৬ ম্যাচে ২৬.৫৯ গড়ে ৫৮৫ রান করেছেন। যদিও তার স্ট্রাইকরেটটাও আশাব্যঞ্জক নয়। মূলত ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ব্যাট হাতে অধারাবাহিক হওয়ায় এদিকটাতে পিছিয়ে শান্ত। টি-টোয়েন্টি তার স্ট্রাইকরেট মাত্র ১১২.০৬।
বিএসডি/ এফ এ