বিশ্বকাপে আরও একটা ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়ারপ্লে শেষের আগেই নেই ৩ উইকেট। ব্যর্থতার বেড়াজালে আটকে আছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদির বলে কাটা পড়েছেন টাইগার এই ওপেনার। ৫ বলে শূন্য রানেই থেমেছে তার রানের চাকা। তামিম ইকবালের বিকল্প ভাবা এই জুনিয়র তামিম বিশ্বকাপে ৭ম ম্যাচে এসেও উপহার দিয়েছেন হতাশা।
ইনজুরির কারণে পুরো ফিট নন, এমন অজুহাতে বিশ্বকাপ যাত্রা থেকে ছিটকে গিয়েছেন তামিম। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। তানজিদ হাসান তামিম তার বদলে জায়গা পেয়েছিলেন মূলত এশিয়া কাপের বদৌলতে। ৪ ম্যাচে করেছিলেন ১৭৯ রান। ৩ ইনিংসে ছিল ফিফটি। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রত্যাশার পারদ ছিল উপরে।
কিন্তু তা আর হলো কই। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচে বরাবর ১০০ রান করেছেন ভবিষ্যত তামিম। গড় ১৪.২৮। স্ট্রাইকরেটও আহামরি না। ৮৮ এর উপর স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন এই ওপেনার। ভারতের বিপক্ষে ৫১ রানের ইনিংস বাদ দিলে তানজিদ তামিম খেলেছেন হতাশাজনক ক্রিকেট। দলের ব্যর্থতার দায় অনেকটা তার কাঁধেও আসছে।
পারফর্মের দিক থেকে পরিণত তামিম ইকবাল থেকে অনেকটা পিছিয়ে তানজিদ। সেটা স্পষ্ট। কিন্তু তরুণ তামিমের চেয়েও খারাপ অবস্থানে আছেন নতুন দিনের এই ওপেনার। ২০০৭ বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে তামিম ইকবাল করেছিলেন ১৭২ রান। তার গড় ছিল ১৯ এর কিছু বেশি। শেষ দুই ম্যাচ সরিয়ে নিলে ৭ ম্যাচে তামিম ইকবালের গড় ছিল ১৯.৪২।
বলা দরকার, প্রথম ৭ ম্যাচের সবকটিতেই তামিম পেয়েছিলেন শক্ত প্রতিপক্ষ। জহির খান, শেন বন্ড, গ্লেন ম্যাকগ্রা, ব্রেট লিদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল সেসময়ের তামিমকে। একমাত্র দূর্বল দল হিসেবে পেয়েছিলেন বারমুডাকে। সে তুলনায় তানজিদ তামিম খেলেছেন আফগানিস্তান এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সেখানেও নামের প্রতি সুবিচার করা হয়নি তার।
তানজিদ তামিমের সামনে অবশ্য আরও দুই ম্যাচ আছে। যেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া। জুনিয়র তামিম প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন, সেটা স্পষ্ট। কিন্তু পরিসংখ্যানের পাতায় কি অন্তত তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব তার পক্ষে। ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর উত্তর মিলবে সেই প্রশ্নের।
বিএসডি / এলএম