ইতিমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, আগামী মঙ্গলবার মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার পরও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন রাখার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন তালেবান নেতারা।
প্রাইস আরও বলেন, ‘সেনাদের প্রত্যাহার করার পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের উপস্থিতির বিষয়ে পরিষ্কার করে আগ্রহের কথা জানিয়েছে তালেবান। তবে চূড়ান্তভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ তালেবানের আগ্রহের ওপরই নির্ভর করছে না।’
নেড প্রাইস বলেন, ‘আমাদের জন্য আফগানিস্তানে আমেরিকান কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার মতো বিশেষ অগ্রাধিকারমূলক কিছু বিষয় রয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, তালেবান তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এটি কথাবার্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ওয়াশিংটনকে আরও নিশ্চয়তা আদায় করতে হবে।
১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেন তালেবান যোদ্ধারা। পরে আফগানিস্তানে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা পালিয়ে কাবুল বিমানবন্দরে আশ্রয় নেন। বিমানবন্দরের ভেতরে মার্কিন সেনারা নিরাপত্তা বজায়ের ও বিদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। আর বিমানবন্দরের বাইরে পাহারায় রয়েছেন তালেবান যোদ্ধারা। বিমানবন্দরটিতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সেখানে বোমা হামলা চালিয়েছে আইএস। এতে ১৯০ জনের মতো নিহত হয়েছেন।
আফগান কৃষকদের দ্রুত সহায়তা করার আহ্বান
তীব্র খরার সম্মুখীন যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের প্রায় ৭০ লাখ কৃষককে জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দেওয়ার জন্য শনিবার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
খবরে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে এরই মধ্যে নাজুক অবস্থায় পড়েছেন আফগানিস্তানের ওই বিপুলসংখ্যক কৃষক। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সরকারের পতনের পর নতুন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, আফগানিস্তানে খরার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে আছেন কৃষকেরা বা প্রতি তিন আফগানের একজন। তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন তাঁরা। তাঁদের জরুরি মানবিক সহায়তা দরকার।
এফএওর পরিচালক কিউ ডংইউ এক বিবৃতিতে বলেন, আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকায় আসছে সপ্তাহ ও মাসগুলোতে খরার প্রভাব এবং অবনতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন কৃষি খাতে সহায়তা দেওয়া জরুরি।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছিল, আফগানিস্তানে খাদ্যসহায়তার অপর্যাপ্ত সরবরাহের বিষয়টি দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির হুমকি তৈরি করছে।
বিএসডি/এএ