প্রযুক্তি ডেস্ক,
লন্ডনের ১২ বছর বয়সী স্কুল ছাত্র বেনিয়ামিন আহমেদ। স্কুল ছুটির অবসরে সে ‘উইয়ার্ড হোয়েলস’ নামে একটি পিক্সেলেটেড শিল্পকর্ম তৈরি করে। নন-ফাঙ্গিবল টোকেনের (এনএফটিএস) মাধ্যমে নিজের তৈরি এই শিল্পকর্ম বিক্রি করে সে আয় করেছে ২.৯ লাখ ইউরো।
বিপুল পরিমাল এই অর্থ আয় করলেও তার নিজের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। এজন্য তার আয়কৃত এই অর্থ ইথেরিয়াম-ক্রিপ্টো কারেন্সিতে (ডিজিটাল মুদ্রা) জমা রেখেছে বেনিয়ামিন। তার আয়কৃত এই অর্থ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি টাকার সমান।
কিশোর বেনিয়ামিন অবশ্য বাড়িতেও এমন এক পরিবেশে বড় হয়েছে, যেখানে সে এমন কিছু করার উৎসাহ পেয়েছে। তার বাবা ইমরান একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার। তিনি বেনিয়ামিন এবং তার ভাই ইউসুফকে অল্প বয়স থেকেই কোডিং নিয়ে উৎসাহ দিতেন।
বেনিয়ামিনের বাবা ইমরান বলেন, ‘অন্য শিশুদের জন্য আমার পরামর্শ, নিজের আগ্রহকে গুরুত্ব দাও। কোডিংয়ের ওপর আগ্রহী না হলে জোর করে কোডিং শেখার প্রয়োজন নেই। যদি রান্নায় আগ্রহ থাকে তাহলে তাই করো। এক কথায় তুমি যেটাতে ভালো সেটাই করো।’
সন্তানদের নিয়ে গর্বিত ইমরান আরও বলেন, ‘আমার সন্তানদের জন্য মজার ব্যাপার ছিল কোডিং। যখন বুঝতে পারলাম তারা খুব সহজে বিষয়টি গ্রহণ করছে, তখন আমিও গুরুত্ব দেওয়া শুরু করলাম। আমার ছেলেরা প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট কোডিং অনুশীলন করত।’
বেনিয়ামিন এখন তার তৃতীয় সুপারহিরো-থিম নিয়ে কাজ শুরু করেছে। মূলত সে তিমি মাছের বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি ‘আন্ডারওয়াটার গেম’ তৈরি করতে চায়। ‘উইয়ার্ড হোয়েলস’ এর আগে সে আরও একটি কাজ করেছিল। কিন্তু সেটি এবারের মতো এমন বিক্রি হয়নি।
বেনিয়ামিন এতকিছু করলেও তারা সহপাঠিরা ক্রিপ্টো কারেন্সি সম্পর্কেই জানে না। তার একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে, যেখানে সে তার বিভিন্ন পছন্দের বিষয় সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে। তারা বাবা ‘শতভাগ নিশ্চিত’ যে তার ছেলে মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘন করেনি।
বিএসডি/আইপি