দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানির পর রায় দেওয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে তৃতীয় দিনের মতো আপিল শুনানি শুরু হয়।
আপিল শুনানিতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। উপস্থিত আছেন অন্য চার কমিশনারসহ ইসি সচিব।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল ইসিতে জমা পড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিলগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। সারা দেশের ৩০০ আসনের বিপরীতে বিভিন্ন স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে রিটার্নিং অফিসার এসব মনোনয়নপত্রের বৈধতা বাতিল করেছেন। আজ আপিলের শুনানি হওয়ার পর ইসির সিদ্ধান্তে আপিল মঞ্জুর (মনোনয়নপত্র বৈধ), নামঞ্জুর (মনোনয়নপত্র অবৈধ), কিংবা পেন্ডিং রাখা হচ্ছে।
এর আগে প্রথম দুইদিনে ১৯৩ জনের আপিলের রায় দেওয়া হয়।
আজকের ধারাবাহিক রায়গুলো হলো-
১৯৪. মো. মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টি, বরিশাল-২, নামঞ্জুর; ১৯৫. মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোট, কুমিল্লা-১, মঞ্জুর; ১৯৬. মো. বশির উদ্দিন, স্বতন্ত্র, ঢাকা-১৮, মঞ্জুর; ১৯৭. মো. মেজবাউল আলম, স্বতন্ত্র, বগুড়া-৭, নামঞ্জুর; ১৯৮. এস.এম.এ. জলিল, বাংলাদেশ কংগ্রেস, খুলনা-৫, নামঞ্জুর; ১৯৯. হুমায়ুন সুলতান, স্বতন্ত্র, যশোর-৫, মঞ্জুর; ২০০. মোছা. আশা মনি, স্বতন্ত্র, ঠাকুরগাঁও-৩, মঞ্জুর; ২০১. মো. ফুল মিয়া মোল্লা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গোপালগঞ্জ-২, পেন্ডিং; ২০২. মো. মিজানুর রহমান, স্বতন্ত্র, সুনামগঞ্জ-২, মঞ্জুর।
প্রসঙ্গত, আপিলের রায়ের ব্যাপারে কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, আবেদনগুলো শিডিউল অনুযায়ী শুনানি শেষে আপিলের ফল মনিটরে প্রদর্শন, রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষের ই-মেইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও রায় প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, আপিলের রায়ের অনুলিপি নির্বাচন ভবনের অভ্যর্থনা ডেস্ক থেকেও দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
বিএসডি / এলএম