কৃষি ডেস্কঃ
তেঁতুলিয়ার সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র চা চাষিদের চা বাগানে এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে মাল্টা চাষ। আবহাওয়া মাটি এবং পরিমিত বৃষ্টিপাতের কারণে পঞ্চগড় জেলার পাচঁটি উপজেলাতে বারি ১ জাতের মাল্টার চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে। চাসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষেতে সমন্বিত ফসল হিসেবে মাল্টার বাগান করছে চাষিরা।
তেঁতুলিয়ার চা অঞ্চলে সমতল ভূমির বিস্তীর্ণ চা বাগানগুলোতে মালটা চাষে ঝুকেছেন চাষিরা। এতে চায়ের পাশাপাশি দ্বিগুন আয় করছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন স্বাদে এবং গুণে অত্যন্ত স্বুসাদু এই মালটা রপ্তানী হচ্ছে সারাদেশে।
তেতুলিয়া উপজেলার রওশনপুর এলাকার সাদেকুল ইসলাম সুসম করোনাকালীন সময়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে বাবার দুই একর জমিতে দুইশ বারি ওয়ান মালটা চারা রোপন করেন। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে প্রত্যেক গাছেই প্রচুর পরিমানে ফল ধরে। সুসম জানান, দুই একর চা বাগান থেকে চা পাতা বিক্রি হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার। এবার চায়ের পাশাপাশি আরও দুই লাখ টাকার মালটাও বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
শুধু সুসমই নয় অন্যান্য চাষিরাও চা বাগানে মালটা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তারা বলছেন, চা বাগানে মালটা চাষ করলে খরচ কম হয়। চা বাগানে যে সার কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তা দিয়েই মাল্টা উৎপাদন করা যায়। তাদের দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্য চাষিরাও। চাষিরা বলছেন, বাগান থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে মালটা বিক্রি করছেন তারা। চা বাগানে মালটা বাগান দেখতে প্রতিনিয়ত আসছেন পর্যটকরাও। মালটা এবং চা বাগানের অভিনব চাষ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা।
তেতুলিয়া তেতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এই উপজেলার সমতল ভূমিতে চায়ের পাশাপাশি মালটা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে ক্ষুদ্র চা চাষিদের নানা পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।
বিএসডি/এএ