আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সদরদপ্তরে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সোমবারের এই হামলায় আইআরজিসির সৈন্য হতাহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেছেন, তেহরানে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সদরদপ্তরেও আঘাত হানা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী বর্তমানে নজিরবিহীন শক্তির ব্যবহার করে তেহরানের কেন্দ্রস্থলে শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তু এবং দমনমূলক প্রতিষ্ঠানে আঘাত হানছে। দেশটির স্বেচ্ছাসেবী সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী বাসিজের সদরদপ্তর, এভিন কারাগার, ইসরায়েলকে ধ্বংসের সময়গণনা করা ঘড়ি, বিপ্লবী গার্ডের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সদরদপ্তরসহ আরও কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
তেহরানের রাজনৈতিক বন্দিদের দীর্ঘদিন আটকে রাখার জন্য কুখ্যাত কারাগার হিসেবে পরিচিত এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় প্রাথমিকভাবে কোনও বন্দি হতাহত হননি বলে জানা গেছে। বন্দিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতেই ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তেহরানের প্রাণকেন্দ্রে ২০১৭ সালে একটি ঘড়ি স্থাপন করা হয়। ফিলিস্তিন স্কয়ারে স্থাপিত ওই ঘড়িতে ২০৪০ সালের মধ্যে ইসরায়েলের পতন হবে—এমন বার্তা প্রচার এবং ক্ষণগণনা করা হয়। এই ঘড়িটি লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ইরানের বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের এভিন কারাগারের পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: এএফপি, টাইমস অব ইসরায়েল।