দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে অর্থ-সম্পদ দুই-ই মিলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ শহীদুল আলম (এনডিসি)।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় শহীদুল আলম বলেন, “ শতবর্ষে জাতির পিতা , সুবর্ণে স্বাধীনতা , অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা ”- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস -২০২১ উদযাপিত হচ্ছে । মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবান্বিত বিজয়ের এ মাসে অভিবাসীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি এবং তাঁদের অধিকার সুরক্ষায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে এ দিনে সকল অভিবাসী ও তাদের পরিজনকে জানাই শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন । বিশ্ব সভ্যতায় উন্নয়ন ও বিনির্মাণের পিছনে রয়েছে এদেশের শ্রম সহিষ্ণু কোটি বাঙ্গালি কর্মীর অবদান।
এ প্রেক্ষাপটে অভিবাসন আজ বৈশ্বিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধন হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুষ্ঠু , নিরাপদ , নিয়মিত ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন, অভিবাসন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও প্রবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সৃজনশীলভাবে কাজ করছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ( বিএমইটি )
এ ছাড়াও তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন। দেশের যুবক শ্রেণী যদি বেকার থাকে, তারা যদি চাকরি না পায় তাহলে আমাদের এই স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা পাবে না। আজকে আমরা বলতে চাই জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে অভিবাসনকে গুরুত্ব দিতেই হবে। যথাযথ প্রশিক্ষণ পেলে আমাদের অভিবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে পারবে।
এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গিয়েছেন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে আরোহণে আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ অগ্রযাত্রায় অভিবাসী কর্মীদের অসামান্য অবদান রয়েছে। মূল্যবান রেমিটেন্স প্রেরণ করে তাঁরা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভকে শক্তিশালী করেছেন।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি উপজেলা হতে প্রতিবছর গড়ে এক হাজার কর্মী বিদেশে প্রেরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে । মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত প্রচেষ্টার কারণে কোভিড -১৯ পরিস্থিতিতেও ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৫ মাসে আড়াই লক্ষাধিক কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে ।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, অভিবাসন প্রক্রিয়াকে নিরাপদ ও স্বচ্ছ করে তুলতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরাপদ অভিবাসনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিবাসনে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিবাসন সংক্রান্ত নতুন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানে আগ্রহীদের প্রতিযোগিতাপূর্ণ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের উপযুক্ত দক্ষ করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ চলমান রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী কর্মরত রয়েছে বলেও জানান মোমেন।
বিএসডি/এসএফ