বর্তমান সময় ডেস্ক
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে চলছে তেলেসমাতি কাণ্ড। নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নে যুবদল নেতা আজহারুল হক চৌধুরী এবং নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে প্রবাসী বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ নিয়ে তুমুল সমালোচিত হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এবার দলের কোনো ইউনিটে পদ নেই- এমন একজনকে নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, আবিদ হোসেন নামে ওই মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে আবিদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতাকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ষষ্ঠ দফায় আগামী ৩১ জানুয়ারি নবীনগর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বড়াইল ইউনিয়নও রয়েছে। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১০ নেতা চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এদের মধ্যে তিনজনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন- আবিদ হোসেন, বড়াইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন এবং নবীনগর উপজেলা শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।
দলের কোনো পদে না থেকেও চেয়ারম্যান প্রার্থী তালিকায় আবিদ হোসেনের নাম এক নম্বরে দেওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বড়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মোল্লা জানান, আবিদ হোসেন দলে অনুপ্রবেশকারী। দলে তার কোনো অবদান নেই। কোনো পদও নেই তার। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে আবিদের নাম এক নম্বরে রেখে কেন্দ্রে পাঠানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তবে বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবিদ হোসেন বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের ছেলে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জানান, দলে কোনো পদবি না থাকলেও আবিদ দলের জন্য কাজ করেন।
এসএ