বর্তমান সময় প্রতিবেদন:
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আনোয়ার হোসেন রানা। পদ-পদবি ব্যবহার করে হয়েছেন কয়েক কোটি টাকার মালিক। শ্বশুরের অর্থ আত্মসাৎ করে কোটিপতি বনে যাওয়া রানা একসময় উপজেলা জাতীয় পার্টির পদ পেতে ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের পেছনে। তাতে কাজ না হলে রাতারাতি বনে যান বিএনপির কর্মী। বিএনপির পদ বাগিয়ে নিতে ঘোরা শুরু করেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের পেছনে। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি ক্ষমতার বাইরে থাকায় অর্থ দিয়ে বাগিয়ে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকের পদ। সাধারণ সম্পাদক জেলে থাকায় দায়িত্ব পান নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। আসন্ন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল কেন্দ্র করে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।
২০ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ নেতা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেছেন, পারিবারিকভাবে আনোয়ার হোসেন রানার নামে শতকোটি টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে। তিনি মামলা থেকে রক্ষা পেতে ও তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অপচেষ্টার অংশ হিসাবে এবং দলীয় ইমেজ ফিরে পেতে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানারকম নাটক সাজিয়েছেন।
অন্যদিকে, আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সরিফ বিড়ির শতকোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ১ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন সরিফ বিড়ির কর্ণধারের মেয়ে জামাই আনোয়ার হোসেন রানার চার শ্যালিকা-মাহবুবা খানম আমেনা, নাদিরা শরিফা সুলতানা খানম, কানিজ ফাতেমা পুতুল ও তৌহিদা শরিফা সুলতানা।
সম্পদ আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর এবং গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন সরিফ উদ্দিনের চার মেয়ে। এরপর ওই বছরের ৫ অক্টোবর মেয়ে ও মেয়ের জামাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন সেখ সরিফ উদ্দিনের স্ত্রী দেলওয়ারা বেগম। ওই মামলায় স্ত্রীসহ গ্রেফতারও হন রানা। এখন ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে আনোয়ার হোসেন রানার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।