নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির খবর পাওয়ার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় অবস্থিত মেসার্স তালুকদার ফিলিং স্টেশন ও মেসার্স সোনার বাংলা ফিলিংস স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়া রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পও বন্ধ রাখতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে বাইক চালকরা ফিলিং স্টেশনে ভিড় করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তেলের মূল্যবৃদ্ধির খবরে কর্তৃপক্ষ পাম্প বন্ধ করেছে যাতে করে ১২টার পর থেকে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করতে পারে। তারা মূলত সিন্ডিকেট তৈরির ব্যবস্থা করেছে। তবে স্টেশন মালিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, আনলোড করার জন্যই স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদপুরের এক বাসিন্দা বলেন, এই পাম্প কখনোই বন্ধ থাকে না। আমি নিয়মিত এই পাম্প থেকে তেল নিই। তেলের মূল্যবৃদ্ধির খবরে তারা পাম্প বন্ধ রেখেছে।
তালুকদার ফিলিং স্টেশনের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার মামুন বলেন, আমাদের ফিলিং স্টেশনের তেল শেষ হয়ে গেছে। আমরা তেল আনলোড করছি। আনলোড শেষ হলেই তেল দেওয়া শুরু করব।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয় করা ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ১৩০ টাকা প্রতি লিটার হবে। এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ৮৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছিল।
বিএসডি/ফয়সাল