বর্তমান সময় ডেস্কঃ
টিসিবি কার্ডের আওতাভুক্ত নয় এমন স্বল্প আয়ের পরিবারের মানুষদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে আলু,পেঁয়াজ, ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। আর তাই উচ্চমূল্যের বাজারে অর্ধেক দামে ট্রাকসেল থেকে পণ্য কিনতে জড়ো হয়েছেন অনেকে। তবে লম্বা সারিতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও মিলছে না টিসিবির টোকেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনের সামনে ট্রাকসেল পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টোকেনের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকেও টিসিবির পণ্য সংগ্রহের টোকেন পাচ্ছেন না অনেকে। ট্রাক থেকে ১০-২০টি করে টোকেন সরবরাহ করা হলেও সেটি অপ্রতুল। টোকেন পেতে সেখানে অপেক্ষায় আছেন শত শত মানুষ। সেখানে মাঝেমাঝেই হুড়োহুড়ি আর হইহুল্লোড় দেখা যায়। এতসব শুধু একটি টিসিবি টোকেনের জন্য।
আমির আলী নামে এক টিসিবি টোকেন প্রত্যাশী বলেন, সব জায়গাতেই সিন্ডিকেট। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও টোকেন পেলাম না। বলে মাল নাই। যারা বিক্রি করছে তারা মন যারে চায় তারেই দেয়। টোকেন চাইলেই খারাপ ব্যবহার করে, বাজে কথা বলে। মনে হয় চাল-ডাল তাদের বাপের।
নাজমিন নামের আরেক টোকেন প্রত্যাশী বলেন, দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আগে শুনেছি লাইনে দাঁড়ালে টোকেন দেবে, এখন বলছে টোকেন শেষ। যদি মালামাল না দেবে তাহলে এতক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখল কেন?
এর আগে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলের উদ্বোধনের করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিকারের পরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান।
তার আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য সচিব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে রাজধানী ঢাকাতে ‘ট্রাকসেল’ শুরু হবে। ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে এই ট্রাকসেল হবে। সেখান থেকে যে কেউ দুই কেজি ডাল, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে চিনি দেওয়া যাচ্ছে না। চিনি পাওয়া গেলে দেওয়া হবে। এখন প্রতি কেজি ডাল ৬০ টাকা, সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, আলু ৩০ টাকা কেজি দরে দেওয়া হবে।
বিএসডি/আরপি