নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৃষ্টির প্রবণতা আবারও কমে গেছে। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে প্রতিদিন হালকা এক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষার টানা বৃষ্টির দেখা মিলছে না। খানিক সময় বৃষ্টি শেষে উঠছে রোদ। বাতাসে বেড়ে গেছে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। তাই তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও মুক্তি মিলছে না ভ্যাপসা গরম থেকে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শনিবার (২৩ জুলাই) ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশের মধ্যে কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তেঁতুলিয়ায় ২৩, হাতিয়ার ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্য কোথাও বৃষ্টিপাত ১৫ মিলিমিটার অতিক্রম করেনি।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়
রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরণের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী দুদিন পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন হাফিজুর রহমান।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল টেকনাফ ও বদলগাছিতে, দুটি স্থানে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিএসডি/ফয়সাল