পর্যটক নগরী হিসেবে বিশ্বের বুকে আলাদা স্থান করে নিয়েছে দুবাই। হলিউড-বলিউড তারকা কিংবা লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনোলদো থেকে বিরাট কোহলি, সাকিব আল হাসানরা সুযোগ পেলেই অবকাশ যাপনে ছুটে যান এখানে। যাবেন নাই বা কেন? বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন টাওয়ার বুর্জ আল খলিফা যে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই এই শহরেই অবস্থিত। বিখ্যাত স্যান্ডি বিচ, মানুষের হাতে তৈরি কৃত্রিম দ্বীপ দুবাইকে আলাদা করেছে সবকিছু থেকে।
এক সময় মরুর শহর হিসেবে খ্যাতি ছিল দুবাইয়ের। গত দুই দশকে শরীর থেকে সে তকমা অনেকটাই ঝেড়ে ফেলেছে শহরটি। দুবাই এখন খ্যাতি কুড়িয়েছে সুউচ্চ সব ভবন, সৈকত, নৈশ প্রমোদের জন্য। বছরজুড়ে আরব আমিরতে ক্রিকেটের যে মহাযজ্ঞ চলে তার প্রাণকেন্দ্রও দুবাই। এবার তো আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহাউৎসব। ভেন্যু হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এখানেই অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা ফয়সালার শেষ ম্যাচটি।
বৈশিষ্ট্যর দিক থেকে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ব্যতিক্রম ফ্লাডলাইটের কারণে। দুবাই স্পোর্টস সিটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামে পরিচিত মাঠটিতে ফ্লাডলাইটের সংখ্যা ৩৫০টি। সেগুলো পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে এমনভাবে প্রতিস্থাপন করা, যেন চাইলে খেলার সুবিধার্থে মাঠে পড়া যেকোনো ছায়া সহজেই কমিয়ে নেওয়া যায়।
আগামী ২৩ অক্টোবর সুপার টুয়েলভ পর্বে ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা। মেগা এই ইভেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ও ফাইনালসহ সর্বমোট ১৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৫ হাজার হলেও বাড়ানো যায় ৩০ হাজার পর্যন্ত।
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার একদিনের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। এরপর এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজনের রেকর্ড নিজের দখলে রেখেছে স্টেডিয়ামটি। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সঙ্গে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগ, টি-টেন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগসহ একাধিক ফ্রাঞ্চাইজি লিগের খেলার আয়োজন হয়েছে দুবাই।
পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলীয় সর্বোচ্চ রান শ্রীলঙ্কার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১১ রান করেছিল লঙ্কানরা। এ ফরম্যাটে স্টেডিয়ামটিতে ৩৮২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে জায়গা দখল করে আছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শেহজাদ। টি-টোয়েন্টি সবোর্চ্চ ২২টি উইকেট নিয়ে সবোর্চ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় শীর্ষস্থানে পাকিস্তানের সোহেল তানভীর।