দেশে বুধবার পর্যন্ত করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ১৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪০ এবং নারী ১৩ লাখ ৩ হাজার ১১৩ জন। আর টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৯ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩।
এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বুধবার গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫৭ হাজার ৬৩০ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ হাজার ৩৩০ এবং নারী ২২ হাজার ৩০০ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ জন। তাঁরা দুজনই পুরুষ।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ লাখ ২৭ হাজার ৯৩৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৭ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ ৭ হাজার ৯৭৫ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন ৯ লাখ ২০ হাজার ৪ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮৭ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন।
রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৭৬ জন, প্রথম ডোজ ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন।
রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৭২৬ জন, প্রথম ডোজ ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন।
খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ লাখ ৬১ হাজার ১৬০ জন, প্রথম ডোজ ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন।
বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ১০৮ জন, প্রথম ডোজ ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৬০৭ জন, প্রথম ডোজ ৩ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল।
এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।