অর্থনীতি ডেস্ক,
করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও দেশের পোশাকখাতে রফতানির হার বেড়েছে। এছাড়া দেশের আটটি ইপিজেডে মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, করোনাকালীন সরকার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়ায় পোশাকখাত সচল রয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছেন খাতটির ব্যবসায়ীরা। এবং বিদেশি নানা পণ্যের চাহিদা থাকায় দেশে ইপিজেডের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে রফতানি পণ্য উৎপাদন আরো গতিশীল হবে।
বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষের (বেপজা) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন দেশের পোশাকখাতে সাড়ে ১৫ শতাংশ রফতানি বেড়েছে। দেশের আটটি ইপিজেডে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পোশাকখাতে বিনিয়োগ বেড়েছে। বিদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব পাচ্ছি। সেগুলো আমরা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। তাদের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী নতুন আরো তিনটি ইপিজেড তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী পায়রা বন্দর, যশোরের নোয়াপাড়া ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ।
করোনাকালীন শ্রমিকদের বিষয়ে বেপজা চেয়ারম্যান বলেন, কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের করোনার টিকা নিশ্চিত করতে বেপজা কাজ করছে।
বিএসডি/আইপি