দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি নিরাপত্তা চুক্তি থেকে সরে এসেছে ন্যাটো৷ মঙ্গলবার জোটের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার জোটের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়৷ তার আগে চুক্তিটি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া৷ আর এর পরপরই নিজেদের অবস্থান জানায় ন্যাটো।
ইউরোপের সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিপক্ষের দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়েছিল৷ ন্যাটো জানায়, চুক্তিটি থেকে রাশিয়ার সরে যাওয়া এবং দেশটির ইউক্রেনে হামলার পর এই চুক্তিটি হুমকির মুখে পড়েছে।
কনভেনশনাল আর্মড ফোর্সেস ইন ইউরোপ নামের এই চুক্তিটি ১৯৯০ সালে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সই করার দুই বছর পর অনুমোদিত হয়। কিন্তু ২০০৭ সালে চুক্তিটিতে নিজেদের অংশগ্রহণ স্থগিত করে রাশিয়া। একই সাথে ২০১৫ সালে চুক্তিটি থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণাও দেয় দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাশিয়া এই চুক্তি থেকে সরে যায়।
এক বিবৃতিতে ন্যাটো জানায়, চুক্তিভুক্ত সব দেশ এটি মেনে চললেও রাশিয়া মানছে না৷ এই পরিস্থিতি আসলে টেকসই হবে না৷ ন্যাটোর সদস্যদের প্রায় সবগুলো দেশই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। ন্যাটোর দাবি, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এই চুক্তির বিরোধী। জোটের বিবৃতিতে বলা হয়, সদস্য দেশগুলো এখনো সামরিক ঝুঁকি এড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়, চুক্তিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর সব আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডকে দায়ী করছে। রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম এবং ন্যাটো সদস্য বাড়ানোর চেষ্টার কারণে চুক্তি থেকে সরে দঁড়িয়েছে মস্কো।
বিএসডি/ এফ এ