বর্তমান সময় ডেস্ক
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ছয় মাস আগে মারা গেছেন স্ত্রী। ফলে আবারও বিয়ে করবেন মো. রেজাউল নামে এক ব্যক্তি। পথের কাঁটা দূর করতে তাই একমাত্র শিশুসন্তান আসিফকে (৬) ফেলে গেলেন ফরিদপুরের একটি বাজারে।
পরে এলাকাবাসী আসিফকে উদ্ধার করে দুই দিন প্রতিপালনের পর বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সালথা থানায় সোপর্দ করে। গতকালই সালথা থানা পুলিশ ওই শিশুকে সমাজ সেবা অধিদফতর পরিচালিত ফরিদপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অজানা-অচেনা ওই শিশু আসিফকে খুঁজে পায় এলাকাবাসী। পরে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলি সালথা গ্রামের বাসিন্দা লোকমান মাতুব্বরের ছেলে সুমন মাতুব্বর আসিফকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সুমন মাতুব্বর বলেন, গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শিশুটিকে দেখতে পাই। তার কাছ থেকে সব কথা শুনে বাড়ি নিয়ে যাই। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) আসিফকে সালথা থানার কাছে হস্তান্তর করি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশীকুজ্জামান বলেন, শিশুটির বাবার নাম রেজাউল। গত ছয় মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তার মা আসমা বেগম। ঢাকার মিরপুর ১২ নং বালু মাঠ মন্দিরের পাশে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত তারা। তার বাবা আবার বিয়ে করবে। এ জন্য তাকে ফেলে রেখে গেছেন।
ওসি আরও বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আসিফকে থানায় রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন থানায় বার্তা দিয়ে আসিফের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করে তাদের হাতে তুলে দেব। কিন্তু শিশুটি খুব দুরন্ত। তাকে থানায় রাখা নিরাপদ মনে হচ্ছে না। এ কারণে ফরিদপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি।
ফরিদপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক হাসিনা আক্তার বলেন, স্থানীয় সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে সালথা থেকে ফরিদপুর নিয়ে আসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই শিশুকে।
এসএ