আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) সাবধান করে দিয়ে বলেছে, ‘নতুন’ ওমিক্রন আরো বেশি সংক্রামক। এটি ইতিমধ্যে ৫৭টি দেশে ছড়িয়েছে।
ডাব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ মারিয়া ফন কেরকোভে মঙ্গলবার জেনেভায় বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মারণক্ষমতার বিচারে আগের গোত্রেই ‘বিএ.২’ ধরনকে ফেলা যেতে পারে। ওমিক্রন সংক্রমণের গতি চিন্তিত করেছিল বিশেষজ্ঞদের মনে।
এবার চিন্তা বাড়াল ওমিক্রনের সাম্প্রতিকতম রূপ। বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন রূপের সংক্রমণক্ষমতা টেক্কা দিচ্ছে প্রাথমিক সংস্করণটিকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৫৭টি দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে নতুন রূপটি। ১০ সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনের সন্ধান মেলে। তখন থেকে ঝড়ের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়ে বাকি বিশ্বে। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে ডেল্টাকে সরিয়ে ওমিক্রন করোনার মূল ধরন হয়ে ওঠে। এখন জানা গেল, সেই ওমিক্রনের ‘দ্বিতীয় প্রজন্মের ধরন’ হিসেবে পরিচিত ‘বিএ.২’-এর সংক্রমণক্ষমতা এর প্রাথমিক রূপের চেয়েও বেশি।
সাম্প্রতিক একাধিক সমীক্ষা ও গবেষণার তথ্য বলছে, ‘বিএ.২’ ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপের চেয়েও বেশি সংক্রামক। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মারিয়া ফন কেরকোভে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘বিএ.২’-এর সম্পর্কে এখনো বিশেষ কিছু জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই রূপটি ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপের চেয়ে সামান্য বেশি সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন।
গুরুতর অসুস্থ করার ক্ষেত্রে এর ক্ষমতা কী প্রাথমিক ধরনের মতোই কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো বিশেষ কিছু জানা যায়নি। এ জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, এ বিষয়ে ‘বিএ.২ ধরনকে আগের দলেই ফেলা যেতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার।