আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ নাইজারে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কিছু লোক। গেল শুক্রবার (২০ আগস্ট) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি গ্রামে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
শনিবার (২১ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি বছর নাইজারের ওই অঞ্চলে বন্দুকধারীরা একের পর এক হামলা চালিয়েছে। এতে নারী-শিশুসহ বহু সংখ্যক বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ এই আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনাটি তারই এক উদাহরণ।
এদিন স্থানীয় মেয়র হালিদো জিবো ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীরা দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তিল্লাবেরি অঞ্চলের থেইম গ্রামে হামলা চালায়। এতে ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে।
আল-জাজিরা বলছে, নাইজারের একটি নিরাপত্তা সূত্র এরই মধ্যে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ সময় তারা নিহতের সংখ্যা ১৭ বলে দাবি করেছে।
এর আগে গেল সোমবার ওই একই অঞ্চলের অন্য একটি গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে ৩৭ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছিল বন্দুকধারীরা। সেবার নিহতদের মধ্যে ১৪ জন শিশুও ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, নাইজারের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোতে এর আগের হামলাগুলোর জন্য স্থানীয় কর্মকর্তারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির তাবায় সেখানকার অন্তত ১০০ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, তিল্লাবেরির সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালির সীমান্ত রয়েছে। ইসলামপন্থি মিলিশিয়ারা অঞ্চলটিকে কেন্দ্র করেই তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত এর কারণে পার্শ্ববর্তী দুই প্রতিবেশী দেশেও সহিংসতা ছড়িয়েছে। যা পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য ভীষণ শঙ্কার এক বিষয়।
এর আগে নাইজারের সশস্ত্র জঙ্গিদের আগ্রাসনের লক্ষ্যবস্তু ছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও চলতি বছর স্থানীয় জাতিগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাতে গোষ্ঠীগুলো ক্রমশ বেশি করে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে সাধারণ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আরও বেশি সহিংসতা দেখা যাচ্ছে।
বিএসডি/এমএম