নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারাদেশে আধাবেলা হরতালের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ২ নম্বর রেলগেইটস্থ আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের সামনে মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় মিছিলকারীদের সাথে ব্যানার নিয়ে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে মিছিলকারী ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম।
আহতরা হলেন-বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদের জেলা সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, খোরশেদ আলম, জাসাল হোসেন, রাতুল আহম্মেদ, রুহুল আমিন সোহাগ, নুরুল ইসলাম, সরত মন্ডল, সাইফুল ইসলাম, রেজাউল করিম, রোকন আহম্মেদসহ ২০ জন।
হাফিজুল ইসলাম জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারাদেশে আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। ইসির একতরফা ও প্রহসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে হরতাল পালন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এর সমর্থনে আমরা কেন্দ্রীয় সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষসহ সকালে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।
এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীন দেশে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে পারবো না। নিজেদের দাবি রাস্তায় প্রকাশ করতে পারবো না, এ কেমন গণতন্ত্র।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র দাস জানান, জনসাধারণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।
বিএসডি/ এফ এ