আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মহিলা দলের নেত্রী পারভীন আক্তারসহ আটজন আহত হয়েছেন।
আড়াইহাজার বাজার এলাকায় রোববার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাজার এলাকার বাসিন্দা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনুর স্ত্রী মহিলা দল ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার ও অনুর ছোট ভাই রফিকুল ইসলামসহ আটজন।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আড়াইহাজার থানার ওসি আনিসুর রহমান মোল্লা জানান, আনোয়ার হোসেন অনুর ছোট ভাই রফিকুলের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিকালে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী তাকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। ওই ঘটনার রেশ ধরে রাতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে। ঘটনাস্থল থেকে বেনু , সাদ্দাম ও রাসেল নামে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এদিকে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনুর অভিযোগ, ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করেন। রোববার বিকাল ৩টার দিকে রফিকুল ইসলামকে সোনালী ব্যাংক আড়াইহাজার শাখায় সাত লাখ টাকা জমা দিতে পাঠান অনু। পথিমধ্যে ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন শাওনের নেতৃত্বে ৫-৬ জন রফিকুলের পথরোধ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় সঙ্গে থাকা সাত লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।
রফিকুলকে বাঁচাতে পূর্বপরিচিত শিকদার আলী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে রফিকুলকে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাত লাখ টাকা ছিনতাই ও রফিকুল ইসলামকে মারধরের প্রতিবাদে আড়াইহাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি রোববার সন্ধ্যায় আড়াইহাজার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা নামধারী ইমতিয়াজ হোসেন শাওনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অনুর বাসভবন ও মার্কেটে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করতে থাকেন। তাদের বাধা দিতে গেলে মহিলা দল ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু জানান, তার বসতবাড়ি ও মার্কেটে ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চালিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। তিনি তার স্ত্রী ও ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার দলের আটজন আহত হয়েছেন।