নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের কানাইঘাটে নারীকে যৌন হেনস্তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও গণমাধ্যম) লুৎফুর রহমান। গ্রেফতাররা হলেন কানাইঘাট উপজেলার আগতালুক গ্রামের বরকত উল্লার ছেলে বড় আব্দুল্লাহ (৩৫) ও একই গ্রামের রফিক আহমদের ছেলে সায়েদ উল্লাহ (৩০)।
প্রসঙ্গত, ২৩ আগস্ট রাতে ওই নারীকে যৌন হেনেস্তা করে মোবাইলে ভিডিও করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে ওই নারীর ছেলেদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্যসালিশ বৈঠক হয়।
ওই বৈঠকে ভিডিও ধারণকারীদের চার লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এদিন এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। কথামতো বাকি টাকা না দেওয়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাড়ে ৪ মিনিটের ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চারজন যুবক ওই নারীকে টানাহেঁচড়া করছেন। কখনো তার শাড়ির আঁচল ধরে টানাটানি করছেন। এ সময় নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ওই নারীকে মিনতি করতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে ৪ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি ও নারী নির্যাতন দমন আইনে কানাইঘাট থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী। আসামিরা হলেন একই গ্রামের বড় আব্দুল্লাহ (৩৮), ছোট আব্দুল্লাহ (২৭), জব্বার (২২), সাইদুল্লাহ (২৭)।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ওই নারীর বাড়িতে একা থাকতেন। এ সুযোগে ২৩ আগস্ট রাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশের পর তাকে যৌন হেনস্তা ও ভিডিও ধারণ করে প্রতিবেশী চার যুবক।
সেই ভিডিও প্রবাসী দুই ছেলের কাছে পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। গ্রেফতারদের বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান ওসি।
বিএসডি/আইপি