নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার মধ্যরাতে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মুরগির খামারের পুকুরের পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম মো.জাহিদ হোসেন (২৭)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত ব্যবসায়ীর পার্টনার রাকিবকে(২৮) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রাকিব কোম্পানীগঞ্জের গাংচিল এলাকার বাসিন্দা জাহিদ ও কবিরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা
কবিরহাট থানার ওসি মো.রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিহত জাহিদ হোসেন ও রাকিব পার্টনারশিপে কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের গুড়া মিয়ার দোকন সংলগ্ন একটি প্রজেক্ট লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে একটি মুরগির খামার গড়ে তোলেন। তারা দুইজন সেখানে থেকে যৌথ ভাবে এ খামার পরিচালনা করতেন। রোববার সকাল ৯টার দিকে রাকিব নাশতা করে এসে দেখেন তার পার্টনার জাহিদ খামারে নেই। এরপর সকাল ১০টার দিকে রাকিব তার পার্টনার জাহিদের খোঁজ নিতে তার স্ত্রীকে ফোন করেন। সেখান থেকে জানতে পারেন জাহিদ বাড়িতে যাননি।
ওসি আরও জানান, পরবর্তীতে জাহিদের আত্মীয় স্বজনসহ সবাই তার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। এ সময় রাকিব আবার খামার দেখাশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রজেক্টের ভিতরে রাস্তা সংলগ্ন পুকুরের কোনায় জাহিদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে রাকিব বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ফেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত জাহিদের পরিবার এ বিষয়ে মৌখিক বা লিখিত কোন ধরনের অভিযোগ করেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।