ক্রীড়া ডেস্ক,
এর আগে চারটি টি-টুয়েন্টি খেললেও অস্ট্রেলিয়াকে একটিতেও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। আর এবার পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। এমন হতাশজনক পারফরম্যান্সে নিজ দেশের গণমাধ্যমে তুলোধুনো হচ্ছে অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, ওয়েড, মিচেল মার্শদের এমন পরাজয় মানতেই পারছে না। দেশটির অন্যতম পাঠক প্রিয় পত্রিকা ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’- তো তুমুল সমালোচনাই করল দলটির। বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে এমন হারকে কটাক্ষ করল তারা।
তাদের শিরোনামের অনুবাদ করলে অনেকটা এমন দাঁড়ায় ‘বাংলাদেশের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় হারে ভুল পথে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা।’
বুধবার বাংলাদেশের কাছে দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশ কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এমন হারের পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার শিরোনাম ‘অচেনা পরিবেশে বাঘের কামড় টের পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।’ কথা অবশ্য ভুল নয়, কন্ডিশন তো অচেনাই। বাংলাদেশে এসে মিরপুরের উইকেটটা ঠিক চিনতে পারছে না তারা। এ কারণে মাঠেও নেই সাফল্য।
আরেক অজি গণমাধ্যম ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ -ও করেছে তুমুল সমালোচনা। তাদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নিজ দেশের মিডিয়ায় এই সিরিজটি না দেখানোর প্রসঙ্গও। তারা লিখেছে, ‘গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম পুরুষ জাতীয় দলের কোনো সিরিজ ব্ল্যাকআউট। দেখা যাচ্ছে না টেলিভিশনের পর্দায়। সেটি সফরকারী দলের খেলা দেখার লজ্জা পাওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে। কারণ এতটাই বিরক্তিকর যে ঘরে বসে কেউ দেখতে চাইবে না এই খেলা।’
বল হাতে সিরিজে দাপট দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তাকে খেলতে পারছে না অজিরা। আর তাই সিডনি মর্নিং হেরাল্ড লিখেছে, ‘মুস্তাফিজ ১৪৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন আর আইপিএলে খেলেছেন তিনটি দলে। অথচ অজি দলের কয়েকজন তাকে এমনভাবে খেলেছে, দেখে অনেকের ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের শেন ওয়ার্নের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারটা মাথায় আসতে পারে।’
প্রশংসা পেয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানও। যিনি দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে বুধবার খেলেন ২১ বলে ২২ রানে দারুণ ইনিংস। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড লিখেছে, ‘এই সিরিজে নুরুল উইকেটকিপিং করছে কারণ এই পজিশনে বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিমকে জৈব সুরক্ষাবলয়ে ঢুকতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। ওর বাবা-মা কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় জিম্বাবুয়ে থেকে আগেই দেশে ফিরে যান তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিকল্প খেলোয়াড়রা যেখানে ব্যর্থ, সেখানে বাংলাদেশের বিকল্প খেলোয়াড়রা বেশ লড়ছেন।’
বিএসডি/আইপি