বিনোদন প্রতিবেদক:
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হয়েছে, কিন্তু এর রেশ যেন শেষই হচ্ছে না। থামছে না বিতর্ক। নিপুণ ও জায়েদ খানের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে ক্রমশ পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন নিপুণ।
এর মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছে কয়েকটি স্ক্রিনশট। সেগুলো প্রকাশ করে নিপুণ বলছেন, জায়েদ খান ও কয়েকজন প্রাশাসনিক কর্মকর্তার মধ্যকার কথোপকথন এগুলো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার জায়েদ খানও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যেখানে তিনি নিপুণের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জায়েদ খান। সেখানে তিনি জানান, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অভিনেত্রী নিপুণকে প্রধান আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জায়েদ খান বলেন, ‘নিপুণের বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করব। কারণ ডিজিটাল আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোনো সমর্থিত সূত্র কিংবা সত্যিকারের সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া কারো ছবি, কারো লেখা আপনি কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার বা মিথ্যা প্রচারণা চালাতে পারবেন না। আমি মনে করি, যিনি সংবাদ সম্মেলনে স্ক্রিনশটগুলো দেখিয়েছেন, শুধু তিনি নন, তার যারা সহযোগী ছিলেন, সবার নামে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করব৷’
মামলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জায়েদ বলেন, ‘টাকা দিয়ে ভোট কিনেছি, এটা একটা মিথ্য অভিযোগ। আর আমার স্ক্রিনশটটি তিনি যাচাই-বাছাই না করে আমার নাম বলে নিজে পড়ে দেশবাসীর সামনে আমাকে ছোট করেছেন। এটা একটা মানহানিকর কাজ। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি নিপুণের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওটি দেখেছেন। তার পরামর্শেই আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আজকে (গতকাল) সম্ভব না হলেও আগামীকাল (আজ) আমরা মামলাটি করব। ‘
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন জয়ী হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান নিপুণ। আর এই পরাজয়ের নেপথ্যে জায়েদ খান নীলনকশা করে জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করছে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল।