নিজস্ব প্রতিবেদক,
সরকারি নির্দেশনা না মেনে শুধুমাত্র হুইপের সম্মতি নিয়ে করোনার টিকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত রবিউল হোসেন। গত শুক্র ও শনিবার পটিয়ার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের দুই বিদ্যালয়ে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
রবিউল হোসেন জানান, ‘টিকা দেওয়ার বিষয়টি আমি সবাইকে জানিয়েছি। হুইপ মহোদয় এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছে পোষণ করলে তিনি এতে সম্মতি দেন। ’
জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩০ জুলাই) শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং শনিবার (৩১ জুলাই) শোভনদণ্ডী স্কুল অ্যান্ড কলেজে টিকাদান কার্যক্রম চালানো হয়। দুইদিনে সিনোফার্মের প্রায় ২ হাজার টিকা প্রদান করা হয় এই দুই কেন্দ্রে। কেন্দ্র দুটির মধ্যে আরফা করিম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রটি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বাড়ির কয়েকশ গজ দূরে।
টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শনের বিষয়টি অস্বীকার করে ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, টিকা দেওয়ার বিষয়ে সরকারি কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ঘটনাটি জানার পর আসলেই টিকাদান করা হচ্ছে কিনা- তা যাচাই করতে সেখানে গিয়েছিলাম।
টিকা বাণিজ্যের ঘটনায় শনিবার (৩১ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অভিযুক্ত মো. রবিউল হোসেনের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অজয় দাশকে প্রধান এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ খানকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল হায়দারকে। দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
গ্রামাঞ্চলে শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেয় সরকার। কিন্তু এর আগেই রবিউল সিনোফার্ম এর টিকা সরিয়ে নিয়ে হুইপের নির্দেশে তার এলাকার লোকজনকে দেওয়া শুরু করেন। তার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স না থাকলেও নিয়মিত পদ স্বাস্থ্য সহকারী।
স্বাস্থ্য সহকারীদের টিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণে হয়রানি, টিকা নিবন্ধনে টাকা আদায় সহ নানান অভিযোগ রয়েছে রবিউলের বিরুদ্ধে। হুইপের অনুগত হওয়ায় চলতি দায়িত্ব নিয়ে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের কাজ করছেন। তার স্ত্রীও পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত।
বিএসডি/এমএম