নিজস্ব প্রতিবেদক:
অনুমোদনহীন ও লাইসেন্সবিহীন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থলেডটকম ও উইকমডটকমের হেড অব অপারেশন মো. নজরুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনহীন ও লাইসেন্সবিহীন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থলেডটকম ও উইকমডটকমের ৬ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
হেড অব অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম ছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতরা অন্যরা হলো- অ্যাকাউন্ট অফিসার মো. সোহেল হোসেন (২৭), ডিজিটাল কমিউনিকেশন অফিসার মো. তারেক মাহমুদ অনিক (২৮), সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন ওরফে পিয়াস (২৭), কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ অফিসার মুন্না পারভেজ (২৬) ও সুপার ভাইজার মো. মাসুম হাসান (২৭)।
কম মূল্যে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল ও ইলেট্রিক পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক হাজার ক্রেতার কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমান হোসেন বলেন, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। থলেডটকম ও উইকমডটকমের বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তারকৃতরা কম মূল্যে বিভিন্ন পণ্য- টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, ইলেকট্রিক পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ফেসবুক পেজে ও অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে অফার দেয়। ভিকটিমরা বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে যোগাযোগ করার পরে জানতে পারে, টাকা পরিশোধ করলে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করবে। ভিকটিমরা প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিভিন্ন তারিখে চেকের মাধ্যমে ও নগদ প্রায় আড়াই কোটি টাকা প্রদান করে।
প্রতিষ্ঠানটি টাকা পাওয়ার পর ৫০ দিন অতিবাহিত হলেও ভিকটিমদের কাছে কোনও পণ্য সরবরাহ না করে অপেক্ষা করতে বলে। পরবর্তীতে মামলার বাদী খায়রুল আলম মীর তাদের অফিসে গেলে তারা বাদীসহ ভিকটিমদের বিভিন্ন অংকের টাকার চেক দেয়। চেক নিয়ে ভিকটিমরা ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে অ্যাকাউন্টে কোন টাকা নেই বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়। প্রতিষ্ঠানটি এভাবে হাজার হাজার লোকের কাছ থেকে মিথ্যা ও চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারনামূলকভাবে আত্মসাৎ করে।
বিএসডি / আইকে