নিজস্ব প্রতিবেদক,
বন্যায় পশ্চিম ইউরোপে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জার্মানিতে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় অর্ধশত নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবল বৃষ্টির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের বড় নদীগুলোর পানি বেড়ে তীরবর্তী অঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
গত কয়েক বছরের মধ্যে বন্যায় জার্মানিতে এটাই সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। এর আগে ২০০২ সালে দেশটিতে বন্যায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রাইনল্যান্ড-প্যালাটাইনেট ও নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। এই দুটি রাজ্যে বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে এবং অনেক গাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
রাইনল্যান্ড-প্যালাটাইনেট রাজ্যের প্রধান কর্মকর্তা মালু দ্রিয়ার পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘মানুষ মারা গেছে, নিখোঁজ রয়েছে এবং অনেকে এখন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। আমাদের সব জরুরি সেবা বিভাগ ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে।’
জার্মানির বন শহরের দক্ষিণের এলাকা ইউসকিরচেনে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। আহর নদীর পানি প্লাবিত হয়ে রাইনল্যান্ড-প্যালাটাইনেট রাজ্যের আহরউইলারে চার জন মারা গেছে এবং নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন। ওই এলাকার ছয়টির বেশি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বেলজিয়ামে প্রবল বৃষ্টির কারণে নদীর প্লাবনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে ১৫ বছরের এক কিশোরী। নেদারল্যান্ডসেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।