পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আরশ আলীর কাছে একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ৮৫ হাজার টাকা পাওনা ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে আরশ আলী ও ইদ্রিস আলীর পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের ছয়জন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথে আরশ আলী মারা যান।
আরশ আলীর ছেলে সেবুল মিয়া বলেন, ইদ্রিস আলীর লোকজন তাঁদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এতে তাঁর বাবাসহ তাঁদের তিনজন আহত হয়েছেন। পরে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেবুল মিয়ার অভিযোগ, প্রতিপক্ষের কিল-ঘুষি ও মারধরেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইদ্রিস আলী বলেন, ‘পাওনা টাকা চাইতে গেলে কথা-কাটাকাটি ও হইহুল্লোড় হয়েছে। তবে আরশ আলীকে কেউ মারধর করেনি। তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন। এখন আমাদের দায়ী করা হচ্ছে।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মির্জা সাফায়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছে। পাওনা টাকার জন্য সংঘর্ষ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। লাশ উদ্ধার করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইদ্রিস আলীর পক্ষের একজনকে আটক করা হয়েছে।
বিএসডি/ এলএল