সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দিয়াওয়াদনাকে মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে শত শত মানুষ তাঁর জামা-কাপড় ছিঁড়ছে। সহিংসভাবে তাঁকে মারধর করছে। পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশ পোড়ানো হয়। কয়েক ডজন মানুষকে তাঁর লাশের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যায়।
ঘটনার শুরু গুজব থেকে। গুজব উঠেছিল যে দিয়াওয়াদনা পবিত্র কোরআনের বাণী লেখা থাকা একটি পোস্টার নামিয়ে ফেলেছেন। এই অভিযোগ ওঠার পর শুক্রবার সকালের মধ্যে মানুষজন ওই কারখানার মূল ফটকে ভিড় করতে শুরু করে। এরপর বিকেল উন্মত্ত জনতা কারখানায় ঢুকে দিয়াওয়াদনাকে জিম্মায় নেয়।
সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মুর্তজা বলেন, ‘কারখানাটির ভবনের সংস্কারের কারণে দেয়াল থেকে কিছু পোস্টার তুলে ফেলা হয়েছিল। তাঁরা সম্ভবত নবী মুহাম্মদের নামসংবলিত পোস্টারের অবমাননা করেছেন। সম্ভবত এ কারণেই ওই কারখানার ব্যবস্থাপক প্রিয়ান্থা দিয়াওয়াদনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।’
মোহাম্মদ মুর্তজা বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। ভিডিও দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আরও অনেকে গ্রেপ্তার হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি টুইট করেছেন, ‘শিয়ালকোটের কারখানায় ভয়াবহ হামলা ও শ্রীলঙ্কার ব্যবস্থাপককে হত্যা পাকিস্তানের জন্য লজ্জার দিন। আমি তদন্ত কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করছি। এ ঘটনায় দায়ীদের আইনের আওতায় সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া চলছে।’
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটি এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শিয়ালকোটে শ্রীলঙ্কান এক কারখানা ব্যবস্থাপককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
বিএসডি/ এলএল