জেলা প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগঞ্জের হিন্দুপল্লীতে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক শিবিরকর্মী এবং স্থানীয় এক ইমামকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র সোমবার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোববার রাতে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থেকে মামুন মণ্ডল এবং পীরগঞ্জের রামনাথপুর থেকে ওমর ফারুক নামে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “মামুন ২০১২ সাল থেকে সাদুল্লাহপুরে শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে কিছুদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন। আর ওমর ফারুক পীরগঞ্জ দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ডের ইমাম।”
ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৭ অক্টোবর রাতে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে একদল লোক।
ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, শিবিরকর্মী মামুন সেই রাতে ‘নিজ হাতে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরান’ বলে তদন্তে জানা গেছে।
ওই হামলায় মাঝিপাড়া গ্রামের ১৫টি পরিবারের ২১টি বাড়ির সবকিছু পুড়ে যায়। হামলাকারীরা লুটপাটও করে।
মাঝিপাড়ায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। এছাড়া বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুর কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি সৈকত মণ্ডলও রয়েছেন। ফেইইসবুকে ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ১৮ অক্টোবর তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে গাজীপুরের পঙ্গী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ইতোমধ্যে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
বিএসডি / আইকে