আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় আছেন পুতিন। কিন্তু এই সময়ে পুতিনের সঙ্গে প্রকাশ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুব কমই দেখা গেছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছবিও তেমন একটা পাওয়া যায় না। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে পরিবারের বিষয়টি এড়িয়ে যান পুতিন।
২০১৫ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের কাছে তাঁর মেয়েদের নাম-পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে পুতিন বলেছিলেন, তাঁর দুই মেয়ে রাশিয়ায় বসবাস করেন। তাঁদের পড়াশোনাও রাশিয়ায়। তাঁরা তিনটি বিদেশি ভাষায় কথা বলতে পারেন। তাঁদের নিয়ে তিনি গর্বিত।
পুতিন আরও বলেন, ‘আমি কখনোই আমার পরিবার নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করি না।’
রুশ প্রেসিডেন্ট তাঁর মেয়েদের নাম প্রকাশ করতে না চাইলেও তা গোপন থাকছে না। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জেরে তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক দুই মেয়ের নাম এখন সবার জানা।
পুতিনের দুই মেয়ে কী করেন, যুক্তরাষ্ট্র কেনইবা তাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল—এসব ব্যাপারে এখন মানুষের মধ্যে কৌতূহল আরও বেড়ে গেছে।
পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের যৌক্তিকতা নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। তাঁর ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, পুতিনের অনেক গোপন সম্পদ আছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদ রেখেছেন। পুতিনের সম্পত্তি গোপন রাখতে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা সহায়তা করছেন। এ কারণেই ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মস্কোর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় এখন পুতিনের পরিবারের সদস্যদের নিশানা করা হচ্ছে।
বিএসডি/ এমআর