নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের প্রতি কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পোশাক ব্যবহার করে টিকটক, লাইকির মতো মাধ্যমে ভিডিও শেয়ারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদরদফতর থেকে পুলিশ সদস্য ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ডিএমপির তিন উপ-কমিশনার (ডিসি) ও দুজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ঢাকা পোস্টকে নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করে একজন ডিসি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি ডিএমপিতে এ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ ধরনের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তা নির্দেশনা আকারে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপির কতিপয় পুলিশ সদস্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। এ ধরনের কার্যকলাপ রোধে পোস্টদাতাকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
ডিএমপি সদরদফতর থেকে পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডিএমপির কতিপয় পুলিশ সদস্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। এ ধরনের কার্যকলাপ রোধে পোস্টদাতাকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় প্রতিটি ফোর্সের ইনচার্জদের সহকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের পোশাক ব্যবহার করে অথবা পুলিশ-বিষয়ক কোনো পোস্ট ফেসবুকে আপলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ মেনে চলতে বলা হয়েছে।
পুলিশের পোশাক ব্যবহার করে অথবা পুলিশ-বিষয়ক কোনো পোস্ট ফেসবুকে আপলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা-২০১৯ মেনে চলতে বলা হয়েছে
এছাড়া ডিএমপির সদস্যদের বেতন থেকে টাকা কর্তনের বিষয়েও বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সদরদফতর থেকে। চিঠিতে ডিএমপি জানায়, ‘ডিএমপিতে কর্মরত অনেক পুলিশ সদস্য বেতন থেকে টাকা কৰ্তন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক পোস্ট, কমেন্ট করে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। বেতন থেকে যে টাকা কর্তন করা হয়, তা সব পুলিশ সদস্যের কল্যাণের জন্য ব্যয় হয়। অপ্রাসঙ্গিক কোনো কর্তন হয় না।’
‘বর্তমানে কমিউনিটি ব্যাংক দুই বছর অতিক্রম করছে। ব্যাংকটির শেয়ারের জন্য বেতনের যে অংশ কর্তন করা হয়েছিল তা আগামী এক বছর পর লভ্যাংশে যাবে। কারণ, ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম তিন বছর কোনো লভ্যাংশ দেওয়া যায় না। যারা অবসরে যাবেন তারা আবেদনসাপেক্ষে বিনিয়োগ করা টাকা উত্তোলনপূর্বক শেয়ার প্রত্যাহার করতে পারবেন।’
এছাড়া শপিং মল নির্মাণ ও স্কুল-কলেজের নামে কোনো অর্থ কর্তন হয়নি বলেও জানানো হয় ওই নির্দেশনায়।
নির্দেশনার বিষয়গুলো পুলিশের কল্যাণসভা ও রোলকলের মাধ্যমে ফোর্সের সব সদস্যকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিএসডি/আইপি