মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের ১৮৯টি উপজেলায় ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগী চার লাখ একত্রিশ হাজার নারীর মধ্যে ‘পুষ্টি চাল’ বিতরণ করছে মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে সবাইকে (দশ লাখ চল্লিশ হাজার নারী) এ চাল দেওয়া হবে।
বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালার প্রথম দিনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পুষ্টি চাল বিতরণ বিষয়ে বার্ষিক পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালাটি চলবে দুদিন। এটি আয়োজন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ চালের তুলনায় পুষ্টি চালে বেশি মাত্রায় থায়ামিন, নিয়াসিন, জিঙ্ক, আয়রন, ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় মানুষ ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি ও দীর্ঘমেয়াদী জটিল রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।
তিনি বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পুষ্টি চালের মান নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণে কাজ করছে। পুষ্টি চালের চাহিদা মেটানোর জন্য সাতটি কার্নেল কারখানা ও ১১০টি মিক্সিং মিল স্থাপন করা হয়েছে।
মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান ও ডব্লিউএফপি কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ আলফা বাহ।
ডব্লিউএফপিয়ের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ আলফা বাহ বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টি চাল উৎপাদনে পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে। ডব্লিউএফপি এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডব্লিউএফপির সিনিয়র অ্যাডভাইজর আতাউর রহমান ও নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের খায়রুল আলমসহ মন্ত্রণালয়, দফতর, সংস্থা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।