খেলাধূলা প্রতিবেদক:
সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকাল সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে নামবে দুই দল।
তার আগে আজ রবিবার দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ওয়ানডে জয়ে তার অবদান ছিল অনেক। জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতাও। সপ্তম উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন রেকর্ড জুটিতে আফগানদের হারায় টাইগাররা। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন মিরাজ।
সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘ক্রিকেটটা ১১ জনের খেলা, সবারই অবদান রাখতে হয়। যেহেতু আমাদের একটা ভালো সুযোগ আসছে এরকম। প্রথমে হয়তো আমরা নরমাল ক্রিকেট খেলেছি, ওই সময়। হয়তো আমরা জেতার চিন্তা ওই সময় করি নাই। চেষ্টা করেছি জুটি ধরার জন্য। একটা সময় যখন বড় জুটি হয়ে গেছে তখন আমরা আস্তে আস্তে চিন্তা করছি, কীভাবে ম্যাচটা জেতানো যায়। যেহেতু আমাদের জন্য একটা সুযোগ ছিল, সেটা কাজে লেগেছে। আমি মনে করি, এটা আমাদের ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।’
এই জুটি গড়ার ক্ষেত্রে সিনিয়রদের কোনো অবদান আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা তাদেরকে (সিনিয়র) দেখেই শিখি। যারা আমাদের সিনিয়র প্লেয়ার আছে, তারা অনেক অভিজ্ঞ। বাংলাদেশকে অনেকদিন প্রতিনিধিত্ব করেছে এবং অনেক বড় বড় অর্জন করেছে। আজকে যে বাংলাদেশ ভালো একটা অবস্থানে আছে, অবশ্যই তাদের ক্রেডিট দিতে হবে। তারা যেভাবে খেলেছে এবং বাংলাদেশকে উপরে নিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু তাদেরকে দেখেই শিখি। আমরা যত তাড়াতাড়ি শিখতে পারবো তত আমাদের জন্য ভালো হবে এবং আমাদের ক্যারিয়ারের জন্যও ভালো হবে।’
কখন গিয়ে মনে হয়েছে ম্যাচটা জেতা সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার ও আফিফের ভেতর আত্মবিশ্বাস ছিল। আমরা ওইভাবেই পরিকল্পনা করেছি। একটা সময় যখন আমার ৫০ পূর্ণ হলো, আফিফেরও ৫০ হলো, তখন ও আমাকে বলছিল; আমিও বলছিলাম, আমরা যে ৫০ করেছি, এখানে আমাদের কোনো অর্জন থাকবে না, যদি আমরা ম্যাচটা হেরে যাই। আর যদি আমরা ম্যাচটা জিততে পারি, তাহলে এটা আমাদের ভালো একটা অর্জন হবে।’
বিএসডি/ এফএস