কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। পার্টির পক্ষ থেকেও দলীয় নেতাকর্মীদের নৌকা ছাড়াও যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। আমার এলাকার মানুষ সুন্দর, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে। তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়। আমি মনে করি এখন তাদের সে সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানিতে কিশোরগঞ্জ- ৫ আসনে প্রার্থীতা ফেরত পাওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুব্রত পাল বলেন, আমি প্রথমে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই আমার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি খুবই আনন্দিত। আমার এলাকার মানুষও খুব আনন্দিত। নিকলি-বাজিতপুরের মানুষ সুন্দর, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়। আমি মনে করি এখন তাদের সে সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। সেজন্য তিনি দলের প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। পার্টির পক্ষ থেকেও কিন্তু যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেজন্য দলীয় নেতাকর্মী বিশেষ করে এলাকার জনগণ তাদের ইচ্ছেমতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। আমি আশা করি নিকলি-বাজিতপুরের মানুষ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাকে জয়ী করবেন।
বিএনপি নির্বাচনে আসছে না, বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বরাবরই দেখেছি— বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত এবং নির্বাচনে পরাজিত। এখন তারা আবার নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ- ৫ আসনে সুব্রত পালের দাখিল করা হলফনামায় দুটি মামলার তথ্য উল্লেখ নেই এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। যা তিনি আজ শুনানির মাধ্যমে ফেরত পেলেন।
বিএসডি / এলএম